এখানে মাটির পৃথিবী, উদলা নরম গরম হাওয়া কখনও শিশিরে সিক্ত, কখনও দু হাতের তালু মাখা রক্ত বৈশাখী ঝড়ে ছিন্ন -ভিন্ন মাথার ছাদ, ক্ষয়িষ্ণু ওজোন স্তরে পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষা কচি কচি বরফ কুঁচির অবিরত আর্তনাদ ঝরা, ব্যাধি আর শোকের মিছিল এঁকে দিয়ে যায় বিরাট প্রশ্নবোধক চিহ্ন ! সেই ক্ষণে শিল্পীর তুলিতে ধরা দেয় এক আজব ভগ্নাংশ ।
খণ্ড চিত্রের মহা ছায়াছবি ! হাতের মুঠোয় ধরা কাল্পনিক অবিভাজ্যের শবদাহ ! আমি অবাক তাকিয়ে রই, সমান তালে কাঁপতে থাকে মাটি আর আকাশ । আমি হাসতে হাসতে ভূতলে লুটাই । গুড়ুম গুড়ুম শব্দে চকিত হই না । বিলেতি বাবুর মত পানসে হাসি অধরের দু কোণে জমাট টিপ্পনী কাটে । নিস্তেজ, নিরাবরণ কংকালের সারি গুনগুন রবে ভৈরবী সুর তুলে ! আমার কপালের বলি রেখায় ভাঁজ পড়ে ।
মাঝে মাঝে আলেয়াকে আলো ভেবে ভুল করি অংকের হিসাব বক্র রেখার দিক ভ্রমে আমারও মতিভ্রম ঘটে জ্যামিতিক মারপ্যাঁচে খুঁজি জীবনের মিছে পূর্ণতা ! আক্ষেপ আর আফসোস সাথী হয় বারবার; সূর্যাস্তের পর নেমে আসা আঁধারের মত মনে হয় কেয়া তরীর প্রতিটি পাতা !
অন্ধকারে কার যেন অট্রহাসিতে চমকিত হই, ভুলের পসরা সাজিয়ে মিছে সঙ সাজার অহম লুটায় ধুলায় কে যেন বলতে থাকে, তুমি আধেক মানুষ, আধেক পশু ! তোমার কিসের পূর্ণতা !!
আপনার ভালো লাগা ও মন্দ লাগা জানিয়ে লেখককে অনুপ্রানিত করুন
এস, এম, ইমদাদুল ইসলাম
গত সংখ্যায় এমন একটা অসাধারণ জীবন দর্শণ তত্ব থেকে বঞ্চিত ছিলাম ? আসলৈই আধৈক পশূ থেকে বর্তমান সভ্যতা নামের অসভ্যতার দোলায় মানুষের পশুত্ব মনুষ্যত্বের অবিশষ্ট আধেক থেকে খুইয়ে এখন শূণ্য হতে চলেছে ।
এই লেখাটি গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষের আংশিক অথবা কোন সম্পাদনা ছাড়াই প্রকাশিত এবং গল্পকবিতা কর্তৃপক্ষ এই লেখার বিষয়বস্তু, মন্তব্য অথবা পরিণতির ব্যাপারে দায়ী থাকবে না। লেখকই সব দায়ভার বহন করতে বাধ্য থাকবে।
প্রতি মাসেই পুরস্কার
বিচারক ও পাঠকদের ভোটে সেরা ৩টি গল্প ও ৩টি কবিতা পুরস্কার পাবে।
লেখা প্রতিযোগিতায় আপনিও লিখুন
প্রথম পুরস্কার ১৫০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।
দ্বিতীয় পুরস্কার ১০০০ টাকার
প্রাইজ বন্ড এবং সনদপত্র।